ইসলামিক গল্প:- দেখা হবে জান্নাতে



"দেখা হবে জান্নাতে"

পর্ব-০৩+০৪

মালিহাঃইরে গুরুত্বপূর্ণ কাজটাই তো করা হয়নি।(জিভে কামড় দিয়ে)সেই কবে থেকে প্লান করে রেখেছি আর আজকেই ভুলে যেতে হলো এমন একটা বিষয়।
#একটা দোয়া নোট করে সাথে নিয়ে যেতে হবে।যা হবার তো হয়েছেই।তবুও নিজের তো চেষ্টা করতে হবে যেন পুরোপুরিভাবে সহিহ সুন্নাহ অনুযায়ী চলা যায়। 
#মালিহা খাতা কলম হাতে ডেক্সে বসে লিখতে শুরু করলো।
"اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ، وَإِذَا اشْتَرَى بَعِيراً فَلْيَأْخُذْ بِذِرْوَةِ سَنَامِهِ وَلْيَقُلْ مِثْلَ ذَلِكَ».

(আল্লা-হুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা জাবালতাহা ‘আলাইহি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা জাবালতাহা ‘আলাইহি) 

“হে আল্লাহ, আমি এর যত কল্যাণ রয়েছে এবং যত কল্যাণ তার স্বভাবে আপনি দিয়েছেন তা চাই। আর এর যত অকল্যাণ রয়েছে এবং যত অকল্যাণ ওর স্বভাব-চরিত্রে আপনি রেখেছেন তা থেকে আপনার আশ্রয় চাই।"
(আবু দাঊদ-২/২৪৮, নং ২১৬০; ইবন মাজাহ্‌ ১/৬১৭, নং ১৯১৮। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ, ১/৩২৪)
#রাসূল সাঃ বলেছেন যখন তোমাদের কেউ কোনো মেয়েকে বিয়ে করবে তখন যেন সে তার মাথায়/কপালে হাত রেখে (উপরের দোয়াটি)বলে।
#লেখা শেষ করে কাগজ টাকে ভাঁজ করে বা হাতের মুঠোয় নিয়ে স্বস্তির একটা নিঃশ্বাস ফেলে আপন মনেই মালিহা বিরবির করে বলতে লাগলো
মালিহাঃযা কিছুই হোক না কেন আজ থেকে ও আমার স্বামী। তাই আমার চেষ্টা করতে হবে ও যেন সঠিক টা বুঝতে পারে।বিয়ের রাতে স্ত্রীর মাথায় হাত রেখে এই দোয়া পড়তে হবে এটাতো আর আমার লাটসাহেব জনাবের জানা নেই তাইতো এখন নোট করে নিতে হচ্ছে তার জন্য(মুচকি হেসে)।কিভাবেই বা জানবে, হয়ত জানার চেষ্টা ই করেনি। যাইহোক এখন তাড়াতাড়ি বের হতে হবে।
#দরজা খুলে বের হতেই দেখলো তার মা বাবা সবাই দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। মালিহাকে জিলবাব পরিহিতা অবস্থায় দেখে সবাই যেন ভুত দেখার মতো চমকে গেলো। 
মালিহার মাঃ মালিহা,তোর ড্রেস কোথায়? কি পরেছিস এসব?সবার খাওয়া দাওয়া শেষ। সবাই তোর জন্য অপেক্ষা করছে আর তুই? এখনো বলছি তুই রেডি হয়ে আয় তাড়াতাড়ি। 
মালিহাঃক্ষমা করো মা। আমার পক্ষে সম্ভব না।অনেক গুনাহ করে ফেলেছি।
আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই মালিহার ডান হাতে ধরে রাবেয়া বেগম(মালিহার মা) মালিহাকে রুমের ভিতর নিয়ে গেলো।
রাবেয়া বেগমঃমালিহা তুই কি শুরু করেছিস এসব? সব ই তো ঠিক ছিলো, হটাৎ করে কি হলো তোর? 
মালিহাঃসত্যিই কি শুরুটা আমিই করেছিলাম?তুমি মা হয়ে কিভাবে বলছো যে সব কিছু ঠিক ছিলো।কেন আমার জীবন টাকে এভাবে শেষ করে দিচ্ছো মা? কেন?
রাবেয়া বেগমঃদেখ মা আমি এসব কিছু বুঝিনা।এখন তোকে লেহেঙ্গা পরেই বের হতে হবে। 
মালিহাঃআর যে সম্ভব না। প্লিজ মা তুমি একটু বোঝার চেষ্টা করো।আমি ওভাবে বেপর্দা হয়ে বের হতে পারবো না মা। 
জানো মা হাদিসে এসেছে 
"নারী গুপ্ত জিনিস,সুতরাং যখন সে (বাড়ি থেকে) বের হয়,তখন শয়তান তাকে পুরুষের দৃষ্টিতে রমণীর করে তোলে।" (তিরমিজি -১১০৭)।  
আমি একজন প্রাক্টিসিং মুসলিমা হয়ে কিভাবে শয়তান কে সহায়তা করি বলো! 
মা শয়তান আমাদের প্রকাশ্য শত্রু। প্লিজ মা আমাকে তোমরা বাধা দিও না।আমি এভাবেই যাবো।
রাবেয়া বেগমঃ আচ্ছা বুঝলাম, তুই যে এতো কথা বলে যাচ্ছিস,আল্লাহ বলেছেন কেউ যেন মাতাপিতা কে অমান্য না করে।আমি তো তোর মা তাহলে কেন তুই আমার কথা অমান্য করছিস?
মালিহাঃআসোলে মা আল্লাহ কি বলেছেন সেইটা মন দিয়ে শোনো,
"পিতামাতার সাথে সদব্যবহার করো,পিতামাতাকে অশুদ্ধ করে কোনো কথা বলো না" (সূরা ইসরা আয়াত ২৩)
দেখো মা, আল্লাহ বলেছেন পিতামাতাকে সম্মান করতে তাই বলে এটা বলেন নি যে তোমরা আল্লাহ কে ভুলে যাও।সৃষ্টির সন্তুষ্টির জন্য কখনোই স্রস্টা কে অসন্তুষ্ট করা যাবেনা।একথাও আল্লাহ পবিত্র কুর'আনে বলে দিয়েছেন। তাহলে তুমিই বলো মা আমার এখন কি করা উচিৎ? 
পবিত্র কুর'আনের সূরা আহযাবের ৩৩ নং আয়াতে আল্লাহ আদেশ করেছেন,
"তোমরা জাহেলি যুগের নারীদের মতো সৌন্দর্য প্রদর্শন করবে না।"
যেখানে আল্লাহ আমাকে নিষেধ করেছেন সেখানে আমার কি আস্পর্ধা আছে এটা অমান্য করার বলো!
এ ব্যাপারে আগেও আমি তোমাদের কে অনেক বুঝিয়েছি। আমি এখন ক্লান্ত,বড্ড ক্লান্ত মা। 
রাবেয়াঃদেখ মালিহা তোর কোনো পাপ হবেনা।তোকেতো আমরা বলছি,তুই পোষাক চেঞ্জ কর কিছু হবেনা। 
মালিহাঃনা। তুমি কি জানো আল্লাহ কি বলেছেন? 
সূরা ইসরার ১৫ নং আয়াতে বলেছেন,
"কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না।"
আমার কবরে আমার ই যেতে হবে আর তোমার কবরে তোমার।
রাবেয়া বেগমঃআমি তোর সব কথাই বুঝতে পারছি কিন্তু মা সম্মান বলতে একটা জিনিস আছে না? তারা কি বলবে মা? আজকের দিনটার জন্য হলেও একটু সেক্রিফাইজ কর মামনি।
মালিহাঃদুঃখিত মা। আমার পক্ষে আর সম্ভব না। দ্বীনের ব্যাপারে এখন থেকে নো কম্প্রোমাইজ ইংশা আল্লাহ। 
রাবেয়া বেগমঃতোর শশুড় বাড়ির লোকজন তো এটা মেনে নিবেনা, কি করবি তাহলে?
মালিহাঃআমি আল্লাহ কে বিশ্বাস করি।ভরসা করি রহমানের উপর।আমি যেই সত্ত্বার উপর নির্ভর করি সেই সত্ত্বা আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুমিন দের অভিভাবক তিনি নিজেই,মুমিন দের কে তিনি অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে আসে।আর এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সূরা আল বাকারার ২৫৭ নং আয়াতে।
তিনি আরো বলেন,
"যারা শুধুমাত্র আল্লাহ তা'আলার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেন, তিনি তাদেরকে নিরাপত্তা দেন।"
(সূরা নূর আয়াত ৫৫) 
তাই আমি কখনোই চিন্তা করিনা আমার কি হবে। সর্ব ক্ষেত্রেই আল্লাহ আমাকে সাহায্য করবেন ইংশা আল্লাহ।
রাবেয়া বেগমঃ আমি কিছু জানিনা।যা ইচ্ছে তাই কর।তারা কিছু বললেও আমি কিছু করতে পারবো না।তোর একঘেয়েমিতার কাছে হেরে ই যেতে হয়।
#এসব বলেই হনহন করে রুমের বাইরে চলে যান রাবেয়া বেগম।
মালিহা যেন এক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।
হেটে চলছে সম্মুখ পানে।
#মালিহা কে দেখে কেউ চিনতে না পারলেও সাবিহা ঠিক ই চিনে ফেললো। মালিহাকে ওভাবে দেখেই সাবিহা ঝড়ো বেগে এগিয়ে গেলো ওর দিকে।সাবিহা এতোটাই বিরক্ত হয়েছে যে যার প্রতিফলন ঘটছে তার আগুন ঝড়া ঝাঝালো কথা গুলোতে!

পর্ব ০৪



#মালিহা কে দেখে কেউ চিনতে না পারলেও সাবিহা ঠিক ই চিনে ফেললো। মালিহাকে ওভাবে দেখেই সাবিহা ঝড়ো বেগে এগিয়ে গেলো ওর দিকে।সাবিহা এতোটাই বিরক্ত হয়েছে যে যার প্রতিফলন ঘটছে তার আগুন ঝড়া ঝাঝালো কথা গুলোতে।
সাবিহাঃWhat is this, maliha? You should understand that, it's not a place of any kinds of Islamik lectures. Don't forget that it’s a function of your wedding party.
এসব কথা বলতে না বলতেই আবরার এগিয়ে এলো ওদের দিকে।এসেই সাবিহা কে বলতে শুরু করলো,
আবরারঃ কিরে আপি কি শুরু করলি?থাম এবার। যে যেভাবে থাকতে চায় তাকে সেভাবেই ই থাকতে দেওয়া উচিৎ।ওকে আর কিছু বলিস না।
আবরারের বলা কথা গুলো শুনে মালিহা যে কতোটা খুশি হয়েছে তার জানান দিয়ে যাচ্ছে তার উচ্ছ্বসিত, পুলকিত হরিণী চোক্ষুদয়।যে চোখের দিকে তাকালে নতুন করে কোনো সমুদ্র সৈকত দেখার ইচ্ছে জাগেনা।ইচ্ছে জাগেনা হারিয়ে যেতে কোনো পদ্ম ঝিলে।সেই চোখেই যে ডুবে আছে আস্ত একটা সমুদ্র,পদ্মঝীল। 
মালিহা এই প্রথম চোখ তুলে তাকালো আবরারের দিকে। আবরার সাবিহার দিকে তাকিয়ে উপরের ঠোঁট ডান দিকে বাকিয়ে একটা অদ্ভুৎ হাসি দিলো।যে হাসির মানে মালিহা না বুঝলেও সাবিহা ঠিক ই বুঝে ফেললো।সেও মনে মনে একটা হাসি দিয়ে আর কিছু না বলে অন্যদিকে চলে গেলো। আবরারের অমন কথা শুনে আর কেউ কিছু বললো না। মালিহা নিজ আসনে বসে বসে ভাবছে,
মালিহাঃআচ্ছা মানুষটা অমন করে হাসি দিলো কেন? কি মানে হতে পারে হাসিটার? সে যাই হোক না কেন মানুষ টা কে যত টা খারাপ মনে করেছি হয়ত তার চে একটু ভালো।(এটা বলেই মুচকি হেসে উঠলো আনমনেই।)

#অনুষ্ঠান প্রায় শেষের পথে। আসরের সালাত আদায় করে এসে মালিহা সেই একই জায়গাতে বসে আছে। আবরার মাঝেমধ্যে আসছে আবার কোথায় যেন যাচ্ছে। 

#এবার বিদায় এর পালা।
মালিহার বাসার সবাই ওকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে।
কারো মুখ থেকে কোনো কথা বের হচ্ছে না। বড্ড আদরের মেয়ে তো তাই কে কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না। 
 মালিহার বাবা মেয়ের হাত ধরে বলেই যাচ্ছেন।
আশরাফ চৌধুরীঃ
খুব ভালো থাকিস মা।আমাদের উপর কোনো কষ্ট রাখিস না।জানিস মা তুই যেদিন জন্মেছিলি সেদিন সবাই বলেছিলো আমাদের ঘরে নাকি চাঁদ উঠেছে।সত্যিই তুই চাঁদের মতো আলো করেই আমাদের ঘরে এসেছিলি।আমি প্রতিদিন রাতে অফিস থেকে বাসায় এসে তোর মাকে বলতাম আগে আমার চাঁদ মায়ের মুখটা দেখে সারাদিনের ক্লান্তি টা কাটিয়ে নেই।জানিস মা, আমরা কোনোদিন তোকে ছাড়া থাকতে পারতাম না,মার্জিয়া(মালিহার ছোটো বোন) জন্মানোর প্রায় পাঁচ বছর পরে তখন তোর বয়স প্রায় ১০ বছর,একদিন তোর ছোটো আন্টি আমাদের বাসায় এসে বায়না ধরলো যেন তোকে তার সাথে তাদের বাসায় কয়েক টা দিন থাকতে দেই,কি আর করা আমাদের অনুমতি তে সকাল ১০ টার দিকে তোর আন্টি তোকে নিয়ে গেলো।আমি অফিস থেকে এলাম রাত ৮ টার দিকে। এসে দেখি তোর মা তোর কোল বালিস জড়িয়ে অঝোরে কান্না করে যাচ্ছে,আমারো মনে হচ্ছে যেন হৃদয় আকাশের চাঁদ টা অন্ধকারে ছেয়ে আছে তোকে না দেখতে পেয়ে।তোর মাকে সান্ত্বনা দিবো কি আমার অবস্থা ই নাজেহাল। কি আর করা সেই রাতে তোর মা আর আমি মার্জিয়াকে নিয়ে চলে গেলাম তোর আন্টির বাসায়।পরের দিন সকালে তোকে নিয়েই আমরা বাসায় চলে এলাম।ছোটো থেকে এতো বড় হয়েছিস কোনোদিন তোকে ছাড়া আমরা একটা রাত ও কাটাই নি।কিন্তু আজ কি করবো রে মা।তোকে যে আজ অন্যের নামে দলিল করে দিলাম। অন্যের হাতে তুলে দিলাম আমার ঘরের চাঁদটাকে।এটুকু বলেই মালিহাকে নিজের বুকে জড়িয়ে নিলেন আশরাফ চৌধুরী। 
(অঝোরে কেঁদে চলছেন আশরাফ চৌধুরী)
মালিহার চোখের পানিতে তার নেকাপ পুরো ভিজে যাচ্ছে।
আশরাফ চৌধুরীর কথা শুনে রাবেয়া বেগম,মার্জিয়া সবাই কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে। 
আশরাফ চৌধুরী মালিহাকে আবরারের হাতে তুলে দিয়ে বললো,
আশরাফ চৌধুরীঃআমার মেয়েটাকে দেখে রেখো বাবা,ও সত্যিই একটা হিরের টুকরো। 
সবসময় ওকে তোমার বাধ্য ই পাবে ইনশাআল্লাহ।
#একে একে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে 
বর কনের গাড়িতে বসলো মালিহা। আবরার কে ও সেই গাড়িতে উঠতে বলা হলে সে বললো তার নাকি কি আর্জেন্ট কাজ আছে। এটা বলেই সে অন্য একটা বাইকে উঠে চলে গেলো।
মুহূর্তের মধ্যেই মালিহার আকাশ যেন অন্ধকারে ছেয়ে গেলো। 
সবাই বেশ কষ্ট পেলেও তখন কিছু করার ছিলো না। সাবিহা উঠে বসলো মালিহার পাশে কারন ফরমালিটি বলতে একটা জিনিস আছেনা? 
#সবকিছুকে পিছনে ফেলে গাড়ি ছুটছে আপন মনে, একই সাথে মালিহাও পিছনে ফেলে আসছে তার সমস্ত পিছুটান।অশ্রু যেন কোনো বাধ মানছে না। মাগরিবের আজান হয়ে গেলে গাড়িতে বসেই মালিহা মাগরিবের সালাত আদায় করে নিলো। কারন যে যেই অবস্থাতেই থাকুক না কেন সালাত তাকে আদায় করতে হবে এবং করতেই হবে।
#বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় রাত ৮ টা বেজে গেলো। 
সবাই খুব ক্লান্ত হওয়ায় আর কোনো কাহিনি না করে সবাই সবার রুমে চলে গেলো।মালিহা বসে আছে তার শাশুড়ী রেবেকা বেগমের রুমে। 
রেবেকা বেগমঃ আসোলে কি মা আমার ছেলে মেয়ে গুলা বড্ড জেদি। জীবনের এই পর্যায়ে এসে বুঝতে পেরেছি মা হিসেবে আমি খুব ব্যর্থ।দ্বীন হীন জীবনের ভয়াবহতা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি এখন। তাইতো তোমাকে এঘরে নিয়ে এলাম। তুমি আমার সংসার টাকে দ্বীনের আলোয় আলোকিত করে তুইলো মা। 
মালিহাঃআমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আপনি চিন্তা করবেন না।
রেবেকা বেগমঃমা মালিহা তুমি তো খুব ক্লান্ত,চলো তোমাকে তোমার রুমে দিয়ে আসি।
#রেবেকা বেগম মালিহা কে আবরারের রুমে নিয়ে গেলো।যদিও আবরার এখন রুমে নেই।
রেবেকা বেগমঃমালিহা তুমি ফ্রেস হও মা। একটু পরে আবার আসবো।
#মালিহা রুম টা ঘুরে ঘুরে দেখছে।খাট টা খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।বেলি আর গোলাপের ঘ্রাণে ঘর যেন ময় ময় করছে।খাটের উপরেই দৃষ্টিগোচর হলো একটা গাড়ো মেরুন রঙ এর শাড়ি। শাড়িটা বেশ পছন্দ কলো মালিহার।গোসল সেরে ওই শাড়িটাই পরলো সে।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মালিহা নিজেকে দেখে বলে উঠলো,
মালিহাঃমাশ-আল্লাহ,শাড়িটা তে তো বেশ মানিয়েছে তোকে।সত্যিই তুই খুব সুন্দর রে মালিহা।তিনি তো আজ চোখ ই ফিরাতে পারবে না তোকে দেখে।এটা বলেই খিল খিল করে হেসে পরলো মালিহা।
ইশারের সালাত শেষ করে বসে আছে মালিহা।এমন সময় তার শাশুড়ী তার রুমে এলেন।
মালিহাঃআসসালামু আলাইকুম মা।
রেবেকা বেগমঃওয়া আলাইকুমুল সালাম মা। ময়না(কাজের মেয়ে) ভিতরে আয় খাবার টা দিয়ে যা।খাবার টা খেয়ে নিও মা। বাহ! খুব সুন্দর লাগছে তো শাড়িটাতে তোমায়। আমি তো খেয়াল ই করিনি।আচ্ছা মা তুমি রেস্ট নাও, চিন্তা কইরো না আবরার একটু পরেই চলে আসবে । 
আবরারের কথা বলতেই মালিহা লজ্জায় গোলাপি হয়ে গেলো,ও সরি লাল হয়ে গেলো।
রেবেকা বেগমঃথাক আর লজ্জা পেতে হবেনা। আমি যাচ্ছি, খেয়ে নিও কিন্তু।
এটা বলে রেবেকা বেগম চলে গেলে মালিহা রুম টা লক করে দিলো। সারাদিন খাওয়া হয়নি,উফ খুব ক্ষুধা লেগেছে।খেতে যাবে এমন সময় মনে হলো উনি ও তো খান নি মনে হয়,সে আসুক তারপর একসাথে খাবো।  
এটা বলেই খাবার গুলো ঢেকে রেখে মালিহা বসে রইলো আবরারের অপেক্ষায়।
কিন্তু আবরার? 
কোথায় সে? 
রাত এখন ১১:২০ প্রায়।
কোথায় ও? 
এরকম হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মালিহার মাথায়। 
.
.
চলবে,,,,,,
.
.
#গল্পটা কেমন লাগলো অব্যশয় কমেন্ট এ জানাবেন❤  
.
#এবং প্লিজ শিয়ার করে আপনার বন্ধুদের পরার শুযুগ করেদিন❤
.
# যারা এমন ইসলামীক গল্প পড়তে ভালোবাসেন তারা সঙ্গে থাকুন ❤
.
♠️জাযাকাল্লহু_খাইরন❤️❤️

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইসলামিক-গল্প:- দেখা হবে জান্নাতে

গল্প-দেখা হবে জান্নাতে