পোস্টগুলি

দেখা হবে জান্নাতে

 "দেখা হবে জান্নাতে" পর্ব-০৭+০৮ #পর্বঃ৭ #আবরার একটু নড়েচড়ে আবার ঘুমিয়ে পরলো। মালিহা বুঝতে পারছে না কি করবে এখন।  হটাৎ করেই একটা বুদ্ধি এলো তার মাথায়। পাশে থাকা জগ থেকে হাতে একটু পানি নিয়ে অল্প করে ছিটিয়ে দিলো আবরারের মুখে। ধরফর করে উঠে বসলো আবরার। চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে দাঁড়িয়েই পাশে থাকা জগটা হাতে নিয়ে পুরো একজগ পানি ঢেলে দিলো মালিহার মাথায়।হাত থেকে জগ টা রেখেই  ঝাঝালো কন্ঠে বলে উঠলো আবরার। আবরারঃHey rubbish,কোন সাহসে আমার মুখে পানি দিলেন? what a nonsense?   Don’t cross your limit. You are nobody of mine, mind it. #এটা বলেই আবার ঘুমিয়ে পরলো আবরার। আর মালিহা সেখানেই নির্বাক পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে। মালিহা ভেবেছিলো আবরার হয়ত শুধুই একটু বকাবকি করবে, এর বেশি আর কি ইবা করবে। কিন্তু ও যে এমন একটা কাজ করবে মালিহা সেটা ভাবতেই পারেনি। মালিহা মনে মনে ভাবছে, মালিহাঃকত আশা ছিলো ফজরে তাকে ডেকে উঠিয়ে একসাথে সালাত আদায় করবো,কুরআন তিলাওয়াত করবো, কিন্তু কি হলো এসব?  সত্যিই কি এসব হওয়ার ছিলো?  খুব করে চাইতাম আল্লাহ যেন এমন কাউকে আমার লাইফে পাঠান যে আমাকে দ্বীনের পথে চলতে সাহায্য করবে। দুজনে এক

গল্প-দেখা হবে জান্নাতে

"দেখা হবে জান্নাতে" পর্ব-০৫+০৬ পর্বঃ-৫ #সারাদিন খাওয়া হয়নি,উফ খুব ক্ষুধা লেগেছে।খেতে যাবে এমন সময় মনে হলো উনি ও তো খান নি মনে হয়,সে আসুক তারপর একসাথে খাবো।  এটা বলেই খাবার গুলো ঢেকে রেখে মালিহা বসে রইলো আবরারের অপেক্ষায়। কিন্তু আবরার?  কোথায় সে?  রাত এখন ১১:২০ প্রায়। কোথায় ও?  এরকম হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মালিহার মাথায়। এমন সময় কে যেন দরজায় নক করলো। মালিহার হৃদস্পন্দন যেন দ্বীগুন বেড়ে গেলো।  হয়ত আবরার এসেছে। সে কি বুঝতে পারবে আমাকে।  আবার নক করার শব্দে মালিহার চিন্তা জগতের ছেদ ঘটলো। তাড়াতাড়ি দরজা খুলে দেখলো তার শাশুড়ী দাঁড়িয়ে আছে। রেবেকা বেগিমঃ আবার আসলাম রে মা।  মালিহাঃআসুন মা ভেরতে আসুন। রেবেকা বেগম রুমে ঢুকে মালিহার হাত ধরে তার পাশে বসালেন। রেবেকা বেগমঃ দেখ মা আজ থেকে তোমার নতুন জীবনের শুরু। একটা মেয়ের জীবনে স্বামীর গুরুত্ব কতটা এইটা হয়ত তোমাকে বুঝিয়ে বলতে হবে না। আমি জানি এসব বিষয়ে তোমার যথেষ্ট দখল আছে।তাই তো একটু মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে হলেও তোমাকে নিয়ে এসেছি আমার অন্ধকার ঘরে।  মালিহাঃ কিসের মিথ্যে মা?[বেশ অবাক হয়ে] রেবেকা বেগমঃভেবেছিলাম আজ তোমাকে এসব কিছু বলবো না। কিন্তু

ইসলামিক গল্প:- দেখা হবে জান্নাতে

"দেখা হবে জান্নাতে" পর্ব-০৩+০৪ মালিহাঃইরে গুরুত্বপূর্ণ কাজটাই তো করা হয়নি।(জিভে কামড় দিয়ে)সেই কবে থেকে প্লান করে রেখেছি আর আজকেই ভুলে যেতে হলো এমন একটা বিষয়। #একটা দোয়া নোট করে সাথে নিয়ে যেতে হবে।যা হবার তো হয়েছেই।তবুও নিজের তো চেষ্টা করতে হবে যেন পুরোপুরিভাবে সহিহ সুন্নাহ অনুযায়ী চলা যায়।  #মালিহা খাতা কলম হাতে ডেক্সে বসে লিখতে শুরু করলো। "اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ، وَإِذَا اشْتَرَى بَعِيراً فَلْيَأْخُذْ بِذِرْوَةِ سَنَامِهِ وَلْيَقُلْ مِثْلَ ذَلِكَ». (আল্লা-হুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা জাবালতাহা ‘আলাইহি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা জাবালতাহা ‘আলাইহি)  “হে আল্লাহ, আমি এর যত কল্যাণ রয়েছে এবং যত কল্যাণ তার স্বভাবে আপনি দিয়েছেন তা চাই। আর এর যত অকল্যাণ রয়েছে এবং যত অকল্যাণ ওর স্বভাব-চরিত্রে আপনি রেখেছেন তা থেকে আপনার আশ্রয় চাই।" (আবু দাঊদ-২/২৪৮, নং ২১৬০; ইবন মাজাহ্‌ ১/৬১৭, নং ১৯১৮। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ, ১/৩২৪) #রাসূল সাঃ বলেছেন

ইসলামিক-গল্প:- দেখা হবে জান্নাতে

দেখা হবে জান্নাতে পর্বঃ-১ম+২য় লেখিকাঃ রহিমা খানম #বিয়ের আর মাত্র দুই দিন বাকি।যেখানে অন্যান্য মেয়েরা পার্লার, শপিং নিয়ে ব্যস্ত মালিহা সেখানে গভির ভাবে চিন্তাচ্ছন্ন।কি অপেক্ষা করছে মালিহার জন্য?সে উত্তির্ন হতে পারবে তার ইমানি পরীক্ষায়। #বাবা মায়ের প্রথম সন্তান মালিহা।যেন এক সদ্য প্রস্ফুটিত গোলাপ। আধুনিকতার তীব্র ছোয়ায় বড় হলেও একটা সময় ফিরে আসে মহান রবের ছায়াতলে।নিজেকে পুরোপুরিভাবে পরিবর্তন করলেও পরিবার কে পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার।কারন আল্লাহ তো বলেছেন হেদায়েত তো আল্লাহর হাতে, তিনি না চাইলে হেদায়েত পাওয়া অসম্ভব। তাইতো মালিহা আজ এতো চিন্তিতো।তার বিয়ে হতে যাচ্ছে এক ধনীর দুলালের সাথে।যাকে পেয়ে পরিবারের সবাই আনন্দে দিশেহারা।তারা এতোটাই দিশেহারা যে মাহিলার মতামতটা নিতেও ভুলে গেছে।অনেক চেষ্টা করেও মালিহা ব্যর্থ হয়েছে বিয়েটা আটকাতে।সে যেনে শুনে এমন কাউকে কিভাবে  জীবনসঙ্গী হিসেবে মেনে নিবে যার কাছে ইসলামের আদেশ নিষেধ গুলো কেবল ই গল্প মাত্র।আধুনিকতার তীব্র আকর্ষণ যাকে গভীর ভাবে নেশা ধরিয়ে দিয়েছে।    #নাহ, মালিহা আর চিন্তা করতে পারছে না।মাথাটা যেন অবশ হয়ে আসছে। এভাবেই কেটে দুই টা দিন। স